নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: এক রাস্তা সংস্কার করার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও মদনপুর-জয়দেবপুর এশিয়ার হাইওয়েতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট দুই মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা ছড়িয়ে পড়ে। একদিকে যানজট অপরদিকে তীব্র গরমে চরম ভোগান্তীতে পড়ে চালক ও যাত্রীরা। সকাল থেকে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করলেও অতিরিক্ত গাড়ীর চাপে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ইনচার্জ নবীর হোসেন জানান, গত কয়েক মাস ধরে মদনপুর টু জয়দেবপুর এশিয়ান হাইওয়ে সড়কটি প্রশস্ত করনের কাজ চলছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তার ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মদনপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় কাজ শুরু করে। কাজ শুরু করার পর থেকে এশিয়ার হাইওয়ে পন্যবাহি ও যাত্রীবাহি গাড়ী ধীরগতি হওয়ার কারণে আস্তে আস্তে যানজট শুরু হয়। এদিকে দিন বাড়ার সাথে সাথে গাড়ীরও চাপ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে মদনপুর এলাকায় গাড়ী আসতে আসতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে এসে পৌচ্ছে চারমুখী গাড়ীর চাপে তীব্র যানজটের সৃষ্টি। দিন বাড়ার সাথে সাথে যানজট এমন তীব্র আকার ধারন করে মদনপুর থেকে ঢাকাগামী লেনে টিপরদী ও চট্টগ্রাম লেনে কাঁচপুর হয়ে সাইনবোর্ড পর্যন্ত এবং মদনপুর থেকে জয়দেবপুর রোডে সাদিপুর নয়াপুর পর্যন্ত দুই মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া দীর্ঘ যানজটের কারণে কিছু গাড়ী চালক লং রোডে চলে আসার কারণে যানজট মহাসড়ক থেকে শাখা সড়কেগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। হাইওয়ে পুলিশ সকাল থেকে যানজট নিরসনে কাজ করলেও অতিরিক্ত গাড়ীর চাপে যানজট নিরসনে হিমশিম খাচ্ছে।
যানজটে আটক পড়া মোগরাপাড়া থেকে গুলিস্থানগামী স্বদেশ যাত্রীবাহি বাসের চালক ইব্রাহিম জানান, মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ীর চাপ ও মদনপুর এলাকায় রাস্তা সংস্কারের কারণে সকালে মেঘনা এলাকা থেকে মদনপুর আবার মদনপুর থেকে সাইবোর্ড পর্যন্ত যানজটে অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছি। তিনি জানান, সকাল বেলা মেঘনা থেকে বাস ছেড়ে এসে প্রায় ৩ ঘন্টা যানজট অতিক্রম করে কাঁচপুর পার হয়েছেন। এখনো জ্যাম রয়েছে কখন ঢাকা পৌচ্ছাবো আল্লাহ জানেন। এসময় তিনি যানজটের জন্য সড়ক কর্তৃপক্ষ ও হাইওয়ে পুলিশকে দায়ী করে বলেন রাস্তার কাজ করার আগে গাড়ী চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় পপদক্ষেপ নিলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করতো না।
স্বদেশ পরিবহনের যাত্রী ও একটি বেসরকারী প্রতিষ্টানে কর্মকর্তা ইব্রাহিম জানান, অফিসে যাবো বলে সকাল সাড়ে আটটার দিকে বাসে উঠেছি। এখন ১০টা বাজে মদনপুর অতিক্রম করতে পারলাম না। কখন ঢাকা পৌচ্ছাবো সে চিন্তাই করছি। তিনি আরো বলেন, একদিকে যানজট অপরদিকে তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছি।
সুত্র জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রয়োজনীয় ট্রাফিক ব্যবস্থা ও অতিরিক্ত গাড়ীর চাপের কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া মহাসড়কের চারটি লেনের মধ্যে দুটি লেন লোকাল ও টিকেট কাউন্টার বসিয়ে বাস দাড় করিয়ে যাত্রী উঠানোর কারণে প্রতিদিনই এখানে যানজট সৃষ্টি হয়। মদনপুরে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স থাকলেও যানজট নিরসনে তারা স্থায়ী কোন পদক্ষেপ নিতে পারেন না। অভিযোগ রয়েছে স্থাণীয় চাঁদাবাজ ও ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে লোকাল বাসগুলো চার রাস্তার মোড়ে দুটি লেন দখল করে যাত্রীবাহি বাস দাড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করার কারনে এখানে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি করে। এতে যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তীতে পড়েন পরিবহন চালক ও সাধারন যাত্রীরা।